বাদ তাওহিদ হৃদয়-লিটন! দ্বিতীয় ম্যাচেই দলে ফিরছেন ২ মারকাটারি ব্যাটার
বাঁ-হাতি ওপেনার তানজিদ তামিম আর লেট মিডল অর্ডার জাকের আলী অনিক ছাড়া আর কেউ রান করতে পারেননি। টপ ও মিডল অর্ডারে পারভেজ ইমন (১৩), শান্ত (২৩), লিটন দাস (০), তাওহিদ হৃদয় (১) আর অধিনায়ক মিরাজ (০) কিছুই করতে পারেননি।
তারপরও সবার ধারনা লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয় আর অধিনায়ক মিরাজের একদম রান করতে না পারাটাই বাংলাদেশের করুন পরিণতির পিছনে প্রধান কারণ।
অনেকেই মনে করেন, মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মত দু’জন অভিজ্ঞ, পরিণত, দক্ষ এবং ম্যাচ জেতানো পারফরমার ছাড়া মিডল অর্ডারের শক্তি ও ভারসাম্য অনেক কমে গেছে। সেখানে সময়ের দুই পরিণত, অভিজ্ঞ আর ইনফর্ম পারফরমার নুরুল হাসান সোহান এবং মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হতে পারতেন বেটার চয়েজ।
দীর্ঘদিন জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের অংশ হয়ে জাতীয় পর্যায়ের সব ক্রিকেটারকে খুব কাছ থেকে দেখা খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন, শ্রীলঙ্কায় যে দলটি ওয়ানডে সিরিজ খেলছে, সেই দলে নুরুল হাসান সোহান আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের থাকা একান্ত জরুরি ছিল।
কারণ দু’জনই এক্সপেরিয়েন্সড খেলোয়াড়। পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্য আছে তাদের। সবচেয়ে বড় কথা দু’জনই ফর্মে আছে। রানে আছে।
সুজন বলেন, ‘আমার মনে হয় যারা ফর্মে ছিল, যারা রানে ছিল তাদের পিক করা উচিৎ ছিল। আমি সোহান আর মোসাদ্দেকের কথা বলছি। সোহানকে আমরা খুব মিস করছি। আমার মনে হয় সোহান আর মোসাদ্দেক দু’জনই এ সিরিজের জন্য খুব কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হতে পারতো।’
সুজনের দাবি, সোহান আর মোসাদ্দেক দুজনই আগের চেয়ে অনেক পরিণত। দু’জনারই ম্যাচিউরিটি এসেছে। তাদের ফর্মটাও ভাল আছে। দুজনই ধারাবাহিকভাবে রান করছে।
সুজন সোহান ও মোসাদ্দেকের খেলার ধরণটা বাংলাদেশের মিডল অর্ডারের সাথে লাগসই হতো। এমন দাবি করে সুজন বলেন, ওয়ানডেতে ইনিংসের মাঝখানে গ্রাফটিং করে খেলা খুব জরুরি। মিডল অর্ডারে সোহান ও মোসাদ্দেক দলের প্রয়োজনে সেই কাজটি করতে পারে।
আবার পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে হাত খুলে খেলতেও পারে। তাদের এক্সপেরিয়েন্সটা দলের খুব কাজে দিত। অভিজ্ঞ ক্রিকেট যোদ্ধা সুজন মোটেই বাড়িয়ে বলেননি। সোহান রানে আছেন। দল শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে চট্টগ্রামে হওয়া দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচেই সোহানের ব্যাট থেকে ‘বিগ ফিফটি’ এসেছে।
ওই দুটো ম্যাচের স্কোরকার্ডই বলে দেয় যে সোহান কনফিডেন্ট। তারপরও সোহানকে দলে নেয়া হয়নি। পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, তাওহিদ হৃদয় আর লিটন দাস ফর্মে নেই। শেষ ১৪ ম্যাচে ফিফটি নেই লিটনের।
বিশেষ করে শেষ ৮ ম্যাচের (৬, ১, ০, ০, ২, ৪, ০, ০) অবস্থা খুব খারাপ। সেখানে সোহান ঢাকা লিগ থেকে শুরু করে জাতীয় দলের প্র্যাকটিস ম্যাচেও রান পেয়েছেন। তারও আগে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের সাথে ৪ দিনের ম্যাচের পাশাপাশি ওয়ানডেতেও সেঞ্চুরি করে দল জিতিয়েছেন।
Post a Comment