এই গোলটা দেখলে মেসির prime সময় মনে পড়ে যাবে! একাই ৫ জনকে কাটিয়ে জাল কাঁপালেন!

 

লিওনেল মেসির জোড়া গোলে এমএলএসের ম্যাচে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে মেসির একটি গোল ছিল তাঁর সেরা সময়কে মনে করিয়ে দেওয়ার মতো।


ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে হতাশাজনক বিদায়ে খানিকটা যেন মুষড়েই পড়েছিলেন ইন্টার মায়ামির ভক্তরা। টুর্নামেন্টে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি লিওনেল মেসি-সুয়ারেজরাও। সেই ব্যর্থতার প্রভাব মেজর লিগ সকারেও (এমএলএস) পড়ে কি না সেদিকেই ছিল সবার চোখ।


কিন্তু মেসি জাদুতে সব আশঙ্কা মুহূর্তেই উড়ে গেল। আজ রোববার সকালে মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে জোড়া গোল করেছেন মেসি। অন্য দুই গোল এসেছে তাদেও আলেন্দে ও তালেসকো সেগোভিয়ার কাছ থেকে।



মন্ট্রিয়লের মাঠে মায়ামির শুরুটা অবশ্য হতাশারই ছিলই। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই প্রিন্স ওয়াসুর গোলে এগিয়ে যায় মন্ট্রিয়ল। পিছিয়ে পড়লেও হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যায় মায়ামি। অবশেষে ৩৩ মিনিটে মেসির সহায়তায় বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে গোল করে মায়ামিকে সমতায় ফেরান আলেন্দে। ৪০ মিনিটে মন্ট্রিয়লের চার ডিফেন্ডারের ফাঁদ এড়িয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন মেসি। তাতে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মায়ামি।



বিরতির পর মায়ামি যেন আরও ক্ষুরধার। ৬০ মিনিটে আক্রমণের ধারায় মায়ামিকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন সেগোভিয়া। বক্সের বাইরে অসাধারণ এক শটে গোল করেন তিনি। দুই মিনিট পরই দেখা মেলে মেসির আসল জাদুর।


মাঝমাঠের কাছাকাছি জায়গায় মেসি যখন সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন তখন তাঁর সামনে ছিল তিন ডিফেন্ডার। এরপর দ্রুত একজন পেছনে ফেলে গতি বাড়িয়ে নেন মেসি। তিনি যখন বল নিয়ে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছান তখন শরীরের সঙ্গে লেগে ছিল মন্ট্রিয়লের দুই খেলোয়াড়।


হালকা গতি কমিয়ে দুজনকে বোকা বানিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। বক্সে মেসিকে আটকানোর জন্য তাঁর আশাপাশে ছিলেন সব মিলিয়ে পাঁচজন। মেসি তখন সোজা না গিয়ে বাঁ দিকে হালকা বাঁক নিয়ে একজনকে কাটিয়ে চলে যান ফাঁকা জায়গায়।


এরপর মেসির সামনে ছিল শুধুই গোলরক্ষক। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে কোনো সমস্যাই হয়নি মেসির। মেসির দুর্দান্ত এই গোলে মায়ামিও পেয়ে যায় ৪-১ গোলের লিড। মেসির এ গোলটি মনে করিয়ে দিয়েছে তাঁর সেরা সময়কে। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিয়েছে, এখনো নিজের দিনে অবিশ্বাস্য কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা রাখেন ‘এলএম টেন’।


মেসির দুর্দান্ত এই গোলের পর মন্ট্রিয়লের ম্যাচে ফেরার আর কোনো সুযোগ ছিল না। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠেই বড় হারের স্বাদ পায় তারা। এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ৬ নম্বরে থাকল ইন্টার মায়ামি। তবে ওপরে থাকা পাঁচ দলের মধ্যে চারটির চেয়ে চার এবং অন্য একটির চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে মায়ামি।


মেসিকে নিয়ে ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামি কোচ মাচেরানো বলেছেন, ‘লিও (মেসি) খেলতে পেরে খুব খুশি। ফিট থাকলে সে খেলবেই। পরিষ্কারভাবে বললে, ও যখন খেলে তখন আমাদের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে আর আমরা সেই সুবিধাটা যতটা সম্ভব কাজে লাগাতে চাই।’

Post a Comment

Previous Post Next Post