ওয়ানডে ফরম্যাটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বাংলাদেশের জন্য দারুণ একটা এসেট হতে পারতো। কিন্ত অন্য ফরম্যাটের পারফরম্যান্স এর সাথে তালগুল পাকিয়ে ওর ওয়ানডে ক্যারিয়ারটাই শেষ করে দিলো নির্বাচকরা।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে উঠেছিল সাকিব রিয়াদের পারফরম্যান্স এর কারণে। তবে এই দুইজনের আড়ালে রয়ে গিয়েছিল মোসাদ্দেক। বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিল মোসাদ্দেক। বাংলাদেশের জন্য টার্গেটটা সহজ করে দিয়েছিল।
২০১৯ সালে ট্রাই নেশন সিরিজ জেতার অন্যতম নায়ক ছিল মোসাদ্দেক। ফাইনালে ব্যাট হাতে যেভাবে ফিনিশিং দিয়েছিল এটা ভুলা সহজ না।
২০১৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা যখন নিশ্চিত হারছিলাম তখন মোসাদ্দেক বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়েছিল। মাশরাফি পন্ডিতি করে সে নিজে আবার বোলিং করতে না আসলে হয়তো রান লিক হতো না।
মোসাদ্দেকের ব্যাট এবং বল হাতে অনেক ছোটখাটো ইমপ্যাক্টফুল পারফরম্যান্স আছে। কিন্ত তাকে কখনো হাইলি রেট করা হয় না। মোসাদ্দেককে সব সময় পার্ট টাইম বোলার হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্ত তার ইমপ্যাক্ট কখনোই মিরাজের থেকে কম ছিল না। এমনকি ব্যাটিংয়ের দিক দিয়েও মিরাজ আর মোসাদ্দেকের আহামরি পার্থক্য নাই। উল্টো মোসাদ্দেকের স্ট্রাইক রেট বেশি। কিন্ত মিডিয়া হাইপ এবং নির্বাচকদের চোখের মণি না হয়ে উঠতে পারার কারণে মোসাদ্দেক জাতীয় দলের চিন্তাভাবনাতেও নাই।
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক লিপু সাহেব তো ডিরেক্টলি মিডিয়াতে বলেই দিয়েছেন, মিরাজ যতদিন দলে আছে ততদিন মোসাদ্দেকের দলে জায়গা নাই।
Post a Comment